সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী
লীগ ডাবলিন শাখার আহ্ববায়ক ও আয়ারল্যান্ড আওয়ামীলীগের সিনিয়র যুগ্ম
সাধারণ সম্পাদক জনাব ফিরোজ হোসেন। প্রধান অতিথি ছিলেন সংগঠনের
উপদেষ্টা মাহফুজুল হক ও বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রাক্তন ছাত্রলীগ নেতা
ওয়েক্সফোর্ড থেকে আগত জাকির হোসেন।সভা পরিচালনা করেন আয়ারল্যান্ড
আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো:সোহেল।
ডাবলিন আওয়ামীলীগের সদস্য সমীর কুমার
ধর তার বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের শিকার
বঙ্গবন্ধু। কৃত্ৰিম উপায়ে খাদ্য সংকট তৈরী করে দেশে দুর্ভিক্ষ নিয়ে
এসে বঙ্গবন্ধুর জনপ্রিয়তা হ্রাস করার চেষ্টার মাধ্যমে ১৫-ই আগস্টে
নারকীয় হত্যাযজ্ঞ ঘটানো হয়। তিনি বিদেশে পালিয়ে থাকা খুনি
দুর্বৃত্তদের দেশে ফিরিয়ে এনে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আবেদন জানান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রাক্তন
ছাত্রলীগ নেতা জাকির হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলার দুঃখী মানুষের
জন্য রাজনীতি করে গেছেন তার লক্ষ্য ছিল সমাজের দারিদ্র্য সীমার নিচে
বসবাসকারী লোকগুলো যেন তাদের সন্তানদের বা তাদের পরিবারকে নিয়ে
ক্ষুধার্ত না থাকে। একটি রাষ্ট্রের নাগরিকদের মৌলিক চাহিদার
সবগুলোই যেন পূরণ হয়। বক্তব্য রাখতে গিয়ে আওয়ামী লীগ আয়ারল্যান্ড
শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক অলক সরকার বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫-ই আগস্টে
বঙ্গবন্ধুর পরিবার সেনাবাহিনীর কতিপয় বিপথগামী সেনাসদস্যের হাতে
নির্মম ভাবে খুন হন। বঙ্গবন্ধুর পরিবারের ভবিষ্যতে কেউ যেন আর
সরকার পরিচালনায় না আসতে পারে সেই জন্য তাকে পরিবারসহ নির্মম ভাবে
খুন করা হয়। এই হত্যাকাণ্ডের লক্ষ্য ছিল দেশ পরিচালনার মূলনীতিতে
আঘাত করা।“
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাফফুজুল হক
বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে হলে আমাদের সবাইকে একটি লক্ষ্য
নিয়ে কাজ করতে হবে। সবার পক্ষে সারা বাংলাদেশে কাজ করা সম্ভব নয়
কিন্তু আমরা যদি নিজেদের এলাকায় জনগণের জন্য জনকল্যাণ মূলক কিছু করে
শুরু করতে পারি তাহলে তা পরবর্তীতে তা বিশালাকার রূপ নেবে। সর্বশেষে
জনগণের জন্যই আমাদের কাজ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে সশরীরে উপস্থিত হতে না পেরে
দুঃখপ্রকাশ করে টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তব্য রাখতে গিয়ে
আয়ারল্যান্ড আওয়ামীলীগের ভাইস প্রেসিডেন্ট জালাল আহমেদ ভূঁইয়া বলেন,"
ঘাতকেরা বঙ্গবন্ধুকে কেড়ে নিলেও বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে আমাদের মাঝ থেকে
কেড়ে নিতে পারেনি। তিনি শোক দিবসের অনুষ্ঠানে সবাইকে আসার জন্য
ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠানের শেষের দিকে অনুষ্ঠানের
সভাপতি জনাব ফিরোজ হোসেন বলেন, আগস্ট মাসের ১৫ তারিখে আমরা
বঙ্গবন্ধুকে হারিয়েছে। সেই একই ঘাতকেরা আবারো ২০০৪ সালে বিএনপি
জামায়াতের দু:শাসনামলে ২১ শে আগস্টে জননেত্রীর সভায় গ্রেনেড দিয়ে
হামলা করে। আমাদের প্রানপ্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনা করুনাময়ের অশেষ
রহমতে বেঁচে যান। ঘাতকের ষড়যন্ত্র এখনো বন্ধ হয়নি।তাই তিনি তাদেরকে
প্রতিরোধের আহবান জানান। শোককে শক্তিতে রূপান্তরের মাধ্যমে দেশকে
এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে তিনি অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ডাবলিন
আওয়ামীলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক প্রবীর সরকার, মো সুমন প্রমুখ।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ডাবলিন আওয়ামীলীগের প্রচার
সম্পাদক এ আর নয়ন, আলমগীর হোসেন, মো: সুমন, আলী আহমেদ, শামসুল হক,
সাজ্জাদ সহ অন্যান্যরা অনুষ্ঠানের শেষে ডাবলিন আওয়ামীলীগের নতুন
সদস্য হিসেবে দিলদার হোসেন ,খায়রুল হক পায়েল, নাজমুল হক শিশির,
নাজমুল হক রুমন ও স্বপ্নিলকে স্বাগতম জানানো হয়।
|