অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা করতে গিয়ে ডাবলিন আওয়ামীলীগের সদস্য সচিব সমীর কুমার বলেন, তৎকালীন সময়ে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের সাথে বহির্বিশ্বের সম্পৃক্ততা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
আমরা দেখেছি ফারুক-রশিদ গংকে বার বার বাংলাদেশে অবস্থিত মার্কিন কনস্যুলেট এ গিয়ে ধর্ণা দিতে। কিন্তু আফসোসের ব্যাপার হচ্ছে, তখনকার বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থা চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে এই ষড়যন্ত্র বানচাল করতে।
আমাদের গবেষণা করা দরকার তৎকালীন সময়ে আমেরিকান হেনরি কিসিঞ্জার, রাষ্ট্রদূত ইগুয়েন বোস্টার ও সিআইএ’র চিফ ফিলিপ চেরির ভূমিকা কি ছিল।
কেনই বা সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল শফিউল্লাহ সহ ডিজিএফআই এর প্রধানেরা আক্রমণের আগাম বার্তা পেয়েও নিশ্চুপ ছিল।
আমেরিকান সাংবাদিক লরেন্স লিফশুলজের গবেষনাকৃত বই 'আনফিনিশড রেভল্যুশন' পড়লে এর অনেক উত্তর পাওয়া যাবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সমাজ সেবা ও আইন বিষয়ক সম্পাদক জনাব জাকির হোসেন প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে ঘাতকেরা
স্বাধীনতার মাধ্যমে আমাদের সকল অর্জনকে নস্যাৎ করে দিতে চেয়েছিলো। দলের ভেতর খন্দকার মোস্তাকেরা আজ-ও ঘাপটি মেরে আছে। শেখ রাসেলের মতো শিশু ও বাড়ির নিরীহ মহিলাদের হত্যাকারী
ঘৃণিত ওই নর পশুরা সর্বদাই জনগণের নিকট ঘৃণিত থাকবে।
বক্তব্য রাখতে গিয়ে আয়ারল্যান্ড আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অলক সরকার
বলেন, বঙ্গবন্ধু ও তার পুরো পরিবারকে হত্যার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ পুত্র ২৬ বছর বয়সী শেখ কামালের মতো একজন উদীয়মান সাংস্কৃতিকব্যক্তিত্ব যিনি ভালো সেতার বাদক ছিলেন,
সেই সাথে দক্ষ সাংগঠনিক নেতা যিনি আবাহনী ক্রীড়া চক্রের প্রতিষ্ঠাতা, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ঢাকা থিয়েটারের ও স্পন্দন শিল্প গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা,
এরকম একজন নেতার স্বান্নিধ্য থেকে দেশ ও আমরা বঞ্চিত হয়েছি। অথচ বিভিন্ন অকালকুষ্মান্ডের দল তার নামে অপপ্রচারে লিপ্ত।
কিন্তু 'সত্য' হচ্ছে আগুনের মতো। খুব বেশিদিন সত্যকে ঢেকে রাখা যায় না। আজ আমরা ধীরে ধীরে জানছি কতটা ষড়যন্ত্র আর অপপ্রচারের শিকার হয়েছে আমাদের বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবার।
তিনি বেগম খালেদা জিয়াকে ১৫-ই আগস্ট তার অনৈতিক জন্মদিন পালন করা থেকে বিরত থাকতে আহ্বান জানান।"
ডাবলিন আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক হাফিজুর রহমান লিঙ্কন বলেন, কাপুরুষরা ব্যক্তি মুজিব কে হত্যা করেছে কিন্তু তার আদর্শ কে মুছে দিতে পারেনি।
যদি রাজনীতিবিদরা তার আদর্শকে মেনে চলেন তাহলে আমাদের দেশ সোনারবাংলা হতে বাধ্য।
আয়ারল্যান্ড আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি সৈয়দ বিপুল বলেন, আজকে আমরা দেখতে পাচ্ছি বর্তমান রাজনীতিতে বঙ্গবন্ধু এখনো প্রাসংগিক
অর্থাৎ ঘাতকদের উদ্দেশ্য সম্পূর্ণ সফল হয়নি। বাংলার রাজনীতিতে বঙ্গবন্ধুর অবস্থান এখনো শক্তিশালীভাবে সংহত। তিনি আছেন এবং থাকবেন।
ডাবলিন আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তব্যে জনাব ফিরোজ হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর কিছু খুনিদেরকে দেশে এনে শাস্তি দিলেও আরো অনেকে বিভিন্ন দেশে আছেন।
তাদেরকে দ্রুত ফিরিয়ে এনে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসার জন্য সরকারের নিকট আবেদন জানান। তিনি প্রত্যয় ব্যক্ত করেন আগামী
নির্বাচনকে সামনে রেখে, ভিশন ২০২১ এর বাস্তবায়নে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষে
আয়ারল্যান্ড আওয়ামীলীগের সকলকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ ভাবে সামনে এগিয়ে যাওয়ার।ঘোষণা করেন।
অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণার আগে অলক সরকার সকলের নিকট অনুরোধ করে বলেন, আয়ারল্যান্ড আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আমাদের মিরাজ ভাই অনেক আগে থেকেই অসুস্থ কিন্তু বর্তমানে তার স্ত্রী আমাদের
ভাবীও গুরুতরভাবে অসুস্থ, এছাড়া বাংলাদেশের অল্প বয়সী একজন বিখ্যাত দাবাড়ু একরামুল হক সিয়াম তিনিও গুরুতর ভাবে অসুস্থ। তাদের সবাই যেন দ্রুত আরোগ্য লাভ করতে পারে সেজন্য তারা যেন আপনাদের দোয়া বা প্রার্থনায় থাকে।
বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত একরামুল হক সিয়ামের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য তিনি সকল প্রবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
উপরোক্ত বক্তারা ছাড়াও আরো বক্তব্য রাখেন আয়ারল্যান্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক এ আর নয়ন, ছাত্রলীগ থেকে নির্বাচিত জামালপুর ডিগ্রি কলেজের সাবেক জি.এস রবিন খান, জনি আহমেদ সহ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, আয়ারল্যান্ড আওয়ামীলীগের ধর্ম সম্পাদক প্রবীর সরকার, সদস্য- মোহাম্মদ সুমন,সাজ্জাদুর রহমান, শিশির ইসলাম শামীম, বাবু, টিপু সুলতান রুয়েল, আহসান আলী ,জনি আহমেদ ,শাহরিয়ার দুলাল ,সঞ্জয় সাহা ,ইসমাইল হোসেন, সরোয়ার হোসেন, এস.এম হাসান সহ অন্যান্যরা।
[ সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1073 বার ]
|