“আয়ারল্যান্ড আওয়ামীলীগের মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন”



গত ২৭ শে মার্চ আয়ারল্যান্ড আওয়ামীলীগ, ডাবলিন আওয়ামীলীগ ও আয়ারল্যান্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের উদ্যোগে আয়ারল্যান্ডের রাজধানী ডাবলিনে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানের প্রারম্ভে জাতীয় সংগীত, পবিত্র কোরান তেলোয়াত ও পবিত্র গীতা পাঠ শেষে ২৫ শে মার্চের ভয়াল রাতে পাকিস্থানী হানাদার বাহিনীর বর্বরতায় নিহত নিরস্র শহীদদের স্মরণে একমিনিট নীরবতা পালন করা হয়।।

অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা করতে গিয়ে সমীর কুমার বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চের ভয়াল রাতে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী যেই বাঙালি নিধন যজ্ঞে মেতে উঠে তা বর্তমানে বাঙালির নতুন প্রজন্মের কাছে বিতর্কিত করার জন্য হানাদার বাহিনী তাদের দোসরদের দ্বারা অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন ভাবে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে, তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন সম্প্রতি পাকিস্তানি লেখক জুনায়েদ আহমেদ দ্বারা রচিত বই “The Creation Of Bangladesh: Myths Exploded” ঠিক এরকম একটি বই।তিনি সকলকে বইটি বয়কটের আহ্বান জানান এবং এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদের আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন জার্মান প্রবাসী ইউরোপিয়ান আওয়ামীলীগের ত্রাণ ও প্রবাসী কল্যাণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার হাসনাত মিয়া।তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর বাংলাকে তথা আমাদের জাতীয় পতাকাকে বিশ্ব দরবারে সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে জননেত্রী শেখ হাসিনা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে।বিশ্ব অর্থনীতিতে বাংলাদেশ এখন শক্তিশালী একটি রাষ্ট্র।তাই বাংলাদেশকে ছোট করে দেখার আর কোনো অবকাশ নেই। তিনি আয়ারল্যান্ডে বসবাসরত সবাইকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানান।।

৮০’র দশকের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সমাজসেবা ও আইন বিষয়ক সম্পাদক, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা কাউন্টি ওয়েক্সফোর্ড থেকে আগত অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা জাকির হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধু ছাত্রনেতা থেকে জাতির পিতা হয়েছেন।তিনি সমসাময়িক পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে বলেন ষড়যন্ত্রের কারণে বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হয়েছেন ষড়যন্ত্রকারীরা যেকোনো সময় আঘাত করতে পারে তাই তা মোকাবেলা করার পর্যাপ্ত প্রস্তুতি থাকতে হবে। বর্তমানের জঙ্গিবাদ সেরকমই একটি ইস্যু।বাংলাদেশ বিরোধী শক্তি জঙ্গিবাদকে এখন প্রত্যক্ষ মদদ দিয়ে যাচ্ছে। অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি আয়ারল্যান্ড আওয়ামীলীগের সহসভাপতি আয়ারল্যান্ড আওয়ামীলীগের সহসভাপতি সৈয়দ বিপুল তার বক্তব্য উপস্থাপনকালে বলেন,অনেক শহীদের রক্তে গোড়া আমাদের এই বাংলাদেশ কিন্তু বিএনপি জামায়েত জোট ক্ষমতায় যেতে না পেরে নানাভাবে এখন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, তাই তাদের প্রতিরোধ করার বিকল্প নেই।

আয়ারল্যান্ড আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি বাবু অলক সরকার সকলকে বাংলাদেশ সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী ২৫ শে মার্চ দিনটিকে গণহত্যা দিবস হিসেবে পালন করার জন্য আহ্বান জানান। তিনি বলেন ২৫ শে মার্চ দিবসটিকে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ব্যাপক ভাবে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য জোরালো প্রচারের প্রয়োজনীতা আছে আর সেই লক্ষ্যে আমাদেরকে পরিকল্পনা অনুযায়ী এগোতে হবে এবং এরকম একটি পরিকল্পনা আয়ারল্যান্ড আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকেও খুব শিগ্রই নেওয়া হবে।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক আয়ারল্যান্ড আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা আব্দুল কিবরিয়া বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন,সমাজে সুস্থ ও সুষ্ঠ ধারা বজায় রাখতে হলে নিয়মতান্ত্রিক ভাবে চলতে হয় যেই উপাদান গুলো সমাজকে সুস্থির রাখতে সাহায্য করে তা বিলুপ্তির দিকে যাচ্ছে আর তাই বর্তমান সমাজে এতো অশান্তি।তিনি জঙ্গিবাদ কে উল্লেখ করে বলেন জঙ্গিবাদের কারণে সমাজে অস্থিরতার তৈরী হচ্ছে তাই এ থেকে যেন বিরোধীরা কোনো সুযোগ নিতে না পারে সেই ব্যাপারে সকলকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানের সভাপতি ডাবলিন আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক ও আয়ারল্যান্ড আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো ফিরোজ হোসেন বলেন, মুক্তিযুদ্ধ শেষ হয়ে গেলেও ষড়যন্ত্রকারীরা থেমে নেই তারা এখনও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিকভাবে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। তিনি সবাইকে ঐক্যবদ্দভাবে তাদেরকে প্রতিরোধ করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার কথা বলেন। পরিশেষে অনুষ্ঠানের সভাপতি জনাব ফিরোজ হোসেন অনুষ্ঠানে আগত সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে সভার পরিসমাপ্তি ঘোষণা করেন।

অনুষ্ঠানে উপরোল্লেখিত লোকজন ছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক এম আর নয়ন, কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব রিন্টু ভট্টাচার্য্য, ডাবলিন আওয়ামলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মো: সুমন ও সরোয়ার হোসেন ডাবলিন আওয়ামীলীগের সদস্য আলমগীর হোসেন,শিশির আহমেদ, সিপার হাসান স্বপ্নিল, প্রবীর সরকার, শামীম ভাই, মো: রাব্বি, দীপন পুরকায়স্থ, মো: বেলাল, মো:বাবু, মো: রুয়েল, মুরাদ,সঞ্জয় মজুমদার, ফয়সাল হোসেন, শ্যাম, খায়রুজ্জামান পায়েল, রাজু আহমেদ ও সাজ্জাদ সহ অন্যান্যরা।

[ সংবাদটি পড়া হয়েছে : 955 বার ]