“যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ হাইকমিশন কার্যালয়ে বিএনপির সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা ”



গত ০৭/০২/২০১৮ ইং তারিখে লন্ডন বাংলাদেশ হাইকমিশন কার্যালয়ে বিএনপি জামায়াতি অপগোষ্ঠী বিনা উস্কানিতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে । যে কোনো দেশের হাইকমিশন বিদেশে ওই দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক। বিএনপি জামায়েত অপগোষ্ঠী বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না বলেই এই ধরণের হামলা চালিয়েছে। আমরা আয়ারল্যান্ড আওয়ামীলীগ এই ধরণের কাপুরুষোচিত হামলার তীব্র নিন্দা জানাই।

খবরে প্রকাশ, বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও প্রাক্তন বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বিএনপি নামক একটি সংগঠনের প্রধান, যিনি কোনো আদর্শ বা নীতি নৈতিকার জন্য নয় বা জনগণের কল্যাণ বা তাদের অধিকার আদায়ের জন্য নয় বরং নিজের চৌর্য বৃত্তির দায়ে বাংলাদেশের স্বাধীন বিজ্ঞ আদালত দ্বারা দণ্ডিত হয়েছেন।

বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার চৌর্য বৃত্তি এবারই প্রথম নয়, বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে আমরা দেখেছি তিনি জরিমানা দিয়ে কালো টাকা সাদা করেছেন, আর্মি ক্যান্টনমেন্টের সম্পত্তি আত্মসাৎ করার লক্ষ্যে রীতিমতো জোর জবরদস্তি করে ক্যান্টনমেন্টের সম্পত্তিকে নিজের বাসভবন ঘোষণা সহ আরো অনেক অনৈতিক কর্মে যুক্ত ছিলেন। তার পাঁচ বছর শাসনামলে বাংলাদেশ পাঁচ বার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ান হয়েছিল, সে কথা আমরা ভুলে যায় নি। চৌর্য বৃত্তির দায়ে দণ্ডিত বেগম খালেদা জিয়ার আরেক পুত্র তারেক রহমান যিনি বিগত বিএনপির শাসনামলে জননেতা না হয়ে মিস্টার ১০% (তিনি সকল ধরণের কাজ থেকে ১০% কমিশন খেতেন) হিসেবে অধিক পরিচিত ছিলেন তিনি-ও চৌর্য বৃত্তির দায়ে মহামান্য আদালত দ্বারা দণ্ডিত হয়েছেন।


কাজেই বেগম খালেদা জিয়ার পারিবারিক ইতিহাস চৌর্যবৃত্তির ইতিহাস এবং সেজন্য তাদের কারাদণ্ড-ই প্রাপ্য। বিএনপির কর্মী ও শুভাকাঙ্খীদের অবশ্যই এটা মেনে নিতে হবে। এরকম একটি প্রবাদ বাংলাতেও আছে "চোরের দশদিন তো গৃহস্থের একদিন "। মহামান্য বিজ্ঞ আদালত আজকে সেই গৃহস্থের মতোই চোরকে ধরেছে। সেখানে লন্ডনে বাংলাদেশের হাইকমিশনের কার্যালয় ভাঙচুর অমার্জনীয় অপরাধ।


আমরা যুক্তরাজ্য সরকারকে অনুরোধ করবো অবিলম্বে লন্ডনে লুকিয়ে থাকা তারেক জিয়া সহ এইসব দুর্নীতিবাজ,চোরদের অনুসারীদের আইনের আওতায় এনে যুক্তরাজ্যের আইন অনুযায়ী শাস্তি দেওয়া হোক।


      
      
      

 পত্রিকায় প্রকাশিত আমাদের সংবাদ