“আয়ারল্যান্ড আওয়ামীলীগের নাম ভেঙ্গে খাচ্ছে প্রতারক গোষ্ঠী। আয়ারল্যান্ডে আওয়ামী নামধারী প্রতারক গোষ্ঠীর দৌরাত্ম।”


কিছুদিন আগে গত ৫-ই ফেব্রুয়ারি আয়ারল্যান্ডের একটি গোষ্ঠী নিজেদেরকে আয়ারল্যান্ড আওয়ামীলীগ পরিচয় দিয়ে গণভবনে প্রবেশ করেছে এবং এই সংক্রান্ত একটি নিউজ "ক্রাইম সার্চ২৪বিডি" নামক পত্রিকার মাধ্যমে গত ৯-ই ফেব্রুয়ারি আমাদের নজরে এসেছে।

পত্রিকায় আসা আয়ারল্যান্ড আওয়ামীলীগের নামধারী উপদেষ্টা ফকরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি শামীম কামাল, ইসরাত জাহান নাছরিন, শাহজালাল মাসুম, মহিলা বিষয়ক সম্পদিকা শামীম সুলতানা ও সদস্য সালেহা কামাল বাধন এই নামের কেউ তো আয়ারল্যান্ড আওয়ামীলীগ দূরের কথা , আয়াল্যান্ডেই বসবাস করে না। এ ব্যাপারে সঠিক তথ্য জানার জন্য ইউরোপিয়ান আয়ামীলীগ বা আয়ারল্যান্ডে বসবাসকারী যেকোনো জনগণকে জিজ্ঞাসা করলেই আমাদের দাবীর স্বপক্ষে এর বস্তু নিষ্ঠতা বের হয়ে আসবে। ।

এই ক্ষেত্রে আমরা দাবী করবো, ক্রাইম সার্চ নামক পত্রিকাটি ইহার নামের যথার্থতা ও স্বার্থকতা প্রমান করতে ব্যর্থ হয়েছে।

প্রকৃত পক্ষে আয়ারল্যান্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি নামধারী ও বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা নামে পরিচয় দেওয়া ব্যক্তিদ্বয় আয়ারল্যান্ডে বিএনপি জামায়াতের পৃষ্ঠপোষক ও প্রতারক গুষ্ঠি।বিভিন্নভাবে প্রকাশিত হওয়া ফেসবুক সর্বস্ব এই নামধারী সভাপতির আওয়ামীলীগ সম্পর্কিত বিভিন্ন লেখাও তার নিজের নয়। এখন দেখা যাচ্ছে গণভবন-ও এদের প্রতারণার হাত থেকে রেহাই পায়নি। এদের কালাকার্তুত সম্পর্কে আয়ারল্যান্ডের জনগণ অবগত এবং বেশ কিছুদিন আগেও আয়ারল্যান্ড আওয়ামীলীগের ওয়েবসাইটে বিএনপি জামায়াতের নেতৃবৃন্দের ছবি সহ এদের পূর্ণ সহাবস্থানের বিবরণী ছাপা হয়েছে। যে কেউ আমাদের ওয়েবসাইটে গিয়ে এদের সম্পর্কে জানতে চাইলে বিস্তারিত জানতে পারবেন।।

বিগত দিনে এই ব্যক্তিরা আয়রল্যান্ডে অনুষ্ঠিত জনগণের জন্য নির্দলীয় পাসপোর্ট সার্জারিও আয়ারল্যান্ড আওয়ামীলীগের নামে কুক্ষিগত করেছিল এবং একটি সিন্ডিকেট গঠনের মাধ্যমে তা তারা নিয়ন্ত্রন করতো। পরে আয়ারল্যান্ড আওয়ামীলীগের কর্মীদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সেটা বন্ধ করা হয়।

আমাদের বারবার আবেদন করা স্বত্তেও ইউরোপিয়ান নেতৃবৃন্দের উদাসীনতার দরুন এই প্রতারক গোষ্ঠীর আজ এতো বাড় বাড়ন্ত।

যেহেতু প্রতারণা করা এদের কাজ তাই আমরা উদ্বেগের সাথে বলতে পারি এই প্রতারক গোষ্ঠী দ্বারা গণভবনে যেকোনো ধরণের অঘটন-ও ঘটে যেতে পারতো এবং এর সম্পূর্ণ দায়ভার বর্তাতো আয়ারল্যান্ড আওয়ামীলীগের উপর। আমরা উপরওয়ালার শুকরিয়া আদায় করছি সেই ধরণের কোনো অঘটন ঘটেনি।

এই প্রতারক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিএনপি জামায়াতের সাথে আঁতাত সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় গুরুত্ত্ব পূর্ণ প্রমান আমরা ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর বরাবর, বাংলাদেশ হাইকমিশন বরাবর ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের অফিস সহ বাংলাদেশ সরকারের অন্যান্য গুরুত্ত্বপূর্ণ নেতৃবৃন্দ ও দপ্তর বরাবর প্রেরণ করেছি।


নিবেদক,

কিবরিয়া হায়দার
সভাপতি
আয়ারল্যান্ড আওয়ামীলীগ

বেলাল হোসেন
সাধারণ সম্পাদক
আয়ারল্যান্ড আওয়ামীলীগ

বিবৃতিতে আরো যারা সম্মতি জানিয়েছেন,

সৈয়দ বিপুল (সহ-সভাপতি, আয়ারল্যান্ড আওয়ামীলীগ)
আরমান কাজী (সহ-সভাপতি,আয়ারল্যান্ড আওয়ামীলীগ)
ইনজামামুল হক জুয়েল (যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক, আয়ারল্যান্ড আওয়ামীলীগ)
রফিক খান (প্রতিষ্ঠাতা সাংগঠনিক সম্পাদক, আয়ারল্যান্ড আওয়ামীলীগ )
ফিরোজ হোসেন ( সভাপতি, ডাবলিন আওয়ামীলীগ)
অলক সরকার (সাধারণ সম্পাদক, ডাবলিন আওয়ামীলীগ)
সেলিম অরণ্য (সহ-সভাপতি, ডাবলিন আওয়ামীলীগ)
সমীর কুমার ধর (সাংগঠনিক সম্পাদক, ডাবলিন আওয়ামীলীগ)
জসিম পাটোয়ারী (সহ-সভাপতি, আয়ারল্যান্ড আওয়ামীলীগ)
হাফিজুর রহমান লিঙ্কন (সদস্য, আয়ারল্যান্ড আওয়ামীলীগ)
নাজমুল হক রুমন (সদস্য, আয়ারল্যান্ড আওয়ামী লীগ )
মিজান রহমান (সভাপতি,খিলডেয়ার আওয়ামীলীগ)
ফয়জুল্লাহ শিকদার (সভাপতি, আয়ারল্যান্ড বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন)
কামরুজ্জামান নান্না (সাধারণ সম্পাদক, আয়ারল্যান্ড বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন)
তৌহিদ হাসান (সভাপতি, আয়ারল্যান্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগ )
এ আর নয়ন (সাধারণ সম্পাদক , আয়ারল্যান্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগ)
নোমান চৌধুরী (সভাপতি,আয়ারল্যান্ড ছাত্রলীগ )
রিব্বী ইসলাম (সাধারণ সম্পাদক, আয়ারল্যান্ড ছাত্রলীগ)।
এবং
ডাবলিন ও আয়ারল্যান্ড আওয়ামীলীগের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।