গর্ব-অর্জনের বঙ্গবন্ধু-১ এবং ‘স্যাটেলাইট-বলদ’ সমাচার!


অনলাইনে অর্থাৎ ফেসবুকে এই মুহুর্তে চলছে স্যাটেলাইট বিশেষজ্ঞদের মৌসুমী ঈদ উৎসব! এই ধরনের মৌসুমী উৎসবের মূল বৈশিষ্ট্য হলো আপনি যত কম জানবেন, তত বেশি বকবেন এবং তার চেয়েও বেশি জ্ঞান ফলাবেন!

শুরুতে হাসি-তামাশার থাকলেও বেশিরভাগ সময়েই সেটা পরিনত হবে জঘন্য মিথ্যাচার আর অপপ্রচারে। স্যাটেলাইট উড়াইয়া কি হবে, আমার কি লাভ, আমার বাথরুমের কলের পানি লিক করা থামাবে স্যাটেলাইট? ফিরিয়ে দিতে পারবে আমার পুরোনো প্রেমকে? স্যাটেলাইট কি গোল্ডেন এ+ পাইছে? ইলন মাস্ক নিজে গোল্ডেন পাইছে? স্যটেলাইট কি পারবে বুকের ব্যাথা কমায় দিতে, যেটাকে ডাক্তার বলে গেসটিকের ব্যাথা? ইত্যাদি নানা হাস্যকর কুযুক্তিগুলো তাও ‘পোলাপানের কাজ’ বলে হাসিতামাশা করে উড়িয়ে দেওয়া যায়, কিন্তু যখন একজন শিক্ষিত আধুনিক তরুণ সবকিছু জেনে বুঝে ঠাণ্ডা মাথায় বিবেকটা বিক্রি করে কিংবা ফেসবুকে হিটের আশায় স্রেফ বিরোধিতা করার জন্যই কিংবা ডিফেইম করার জন্যই একের পর এক নির্লজ্জ মিথ্যাচার ছড়াতে থাকে, তখন আসলে প্রবল ক্রোধ আর হতাশায় মাথাটা ফাঁকা হয়ে যায়!

সম্ভবত পৃথিবীতে একমাত্র আমাদের দেশেরই সম্ভব, ইন্টারনেট দুনিয়ার অবাধ বিচরণে ফেসবুকে বসে স্রেফ কয়েকটা লাইক কমেন্ট শেয়ারের আশায় দেশের যাবতীয় সমস্যা টেনে এনে তার সাথে স্যাটেলাইট ঘুঁটা ঘুঁটা দিয়ে এই মুহুর্তে স্যাটেলাইটের অসারতা, অর্থহীনতা প্রমাণের চেষ্টা করা, “মাত্র ৫০+ দেশ স্যাটেলাইট ব্যবহার করছে, যারা করছে না, তারা কি পিছায়ে গেছে, তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নে স্যাটেলাইট প্রথম প্রায়োরিটি না” টাইপের বাণী অমৃত প্রসব করা, স্যাটেলাইটকে বিলাসিতা হিসেবে দেখানো, গরীবের প্রাইভেট কারে চড়তে চাওয়া ইত্যাদি বিশেষণে বিশেষায়িত করা!

অথচ সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং ব্যাপারটা হচ্ছে যদি আজ দিবাগত রাতে স্যাটেলাইটটি সফলভাবে উৎক্ষেপণ করা যায়, তাহলে স্যাটেলাইটটি কাজ করা শুরুর পরে, স্যাটেলাইট থেকে প্রাপ্ত সুবিধা এরা আগ্রহ করে গ্রহণ করবে, তখন একবারও বলবে না যে এই পচা স্যাটেলাইটের তরঙ্গ ব্যবহার করে নেওয়া ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহার করবো না! তারা সেই স্যাটেলাইটের সুবিধা ব্যবহার করেই ইহুদীর ফেসবুকে বসে আবারো সেই নতুন কোন গর্ব কিংবা অর্জন নিয়ে ফাজলামি শুরু করবে।

সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক ব্যাপারটা হচ্ছে সম্ভবত এই যে, যারা স্যাটেলাইট কি কাজে লাগবে ভেবে পাচ্ছে না, তারা একবারও একটু কষ্ট করে গুগলে সার্চ দিলে, পত্রিকা থেকে কিংবা ফেসবুক হোমফিড থেকেই এই স্যাটেলাইটের অজস্র সুফল সম্পর্কে জানার চেষ্টা করে নাই। আমাদের টেলিকমিউনিকেশন্স, টেলিভিশন নেটওয়ার্ক আর ইন্টারনেটের নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করবে এই স্যাটেলাইটটা, যার জন্য পূর্বে আমরা ভারত ও অন্যান্য দেশের উপর নির্ভর করতাম। বছরের প্রায় ১৪ মিলিয়ন ডলার খরচ হত ভিনদেশের স্যাটেলাইট থেকে এই সেবাগুলো কিনতে। এই নিবিচ্ছিন্ন যোগাযোগ স্থাপনের পাশাপাশি স্যাটেলাইটের তরঙ্গ ভাড়া দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। মোট ৪০টি ট্রান্সপন্ডারের মধ্যে ২০টি ট্রান্সপন্ডার বাংলাদেশের ব্যবহারের জন্য রাখা হবে। বাকি ২০টি ট্রান্সপন্ডার বিদেশী কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রির জন্য রাখা হবে।

শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভুটান, মায়ানমারের মত দেশগুলোতে যে ট্রান্সপন্ডারগুলো ভাড়া দিয়ে প্রতি বছর আয় হবে প্রায় ৫ কোটি মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ৪০০ কোটি টাকারও বেশি। স্যাটেলাইটের স্রেফ একটা সেবা খাত থেকেই আসবে ৪০০ কোটি টাকা, অথচ ডিটিএইচ (ডাইরেক্ট টু হোম) সেবা, স্যাটেলাইট টেলিভিশনের সম্প্রচার এবং ইন্টারনেট সুবিধাসহ ৪০ ধরনের সেবা পাওয়া যাবে এই স্যাটেলাইট থেকে। স্রেফ ভাবেন তো, একটা সেবাতেই ৪০০ কোটি টাকা বাৎসরিক আয় হলে ৪০টা খাত থেকে সবমিলিয়ে কত আসার কথা?

অথচ ছাগুর দল গতকাল থেকে প্রচার করছে এই স্যাটেলাইট বানাতে গিয়ে নাকি ১৫০০ কোটি টাকা লস হয়েছে, বছর বছর নাকি আরো শত শত কোটি টাকা লস হবে। এবং খুব আগ্রহ আর উৎসাহের সাথে এই মিথ্যাচার প্রচার হচ্ছে অসংখ্যবার। অথচ নেভিগেশন বা জাহাজের ক্ষেত্রে দিক নির্দেশনায়, গ্লোবাল পজিশনিং বা জি পি এস, ডিজিটাল ম্যাপ তৈরি করার ক্ষেত্রে, গামা রে এক্সপ্লোশন ডিটেকশন করতে আমাদের সাহায্য করবে বঙ্গবন্ধু-১। মাটি বা পানির নিচে অনুসন্ধান ও উদ্ধার কাজে তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস ও বিভিন্ন খনির সনাক্তকরণের মাধ্যমে নতুন সম্পদের দুয়ার খুলে দেওয়ার কাজে সাহায্য করবে বঙ্গবন্ধু-১। আমাদের গ্যাসফিল্ড কিংবা তেলের খনি কিংবা অন্যান্য খনিজ দ্রব্য খোঁজার ক্ষেত্রে প্রায়ই আমাদের নির্ভর করতে হয় বিদেশী বেনিয়াদের উপর, যারা আমাদের তেল, গ্যাস খুজে দেওয়ার বদলে, উত্তোলনের বদলে আমাদের খনিজ সম্পদই আমাদের কাছে বিক্রি করে। এসব লুটেরা বেনিয়াদের হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আমাদের দেশীয় বাপেক্সের মত সংস্থাগুলো তাদের কাজ ঠিকঠাক চালাতে পারতো না স্যাটেলাইট সুবিধার সীমাবদ্ধতা কারণে। পর্যাপ্ত অনুসন্ধান করা কঠিন ছিল। যা এখন নিজেদের স্যাটেলাইট থাকায় খুব সহজেই সম্পন্ন হবে। আমাদের দেশীয় স্যাটেলাইটের মাধ্যমে অনুসন্ধান চালাবে আমাদের দেশীয় তেল-গ্যাস খনন কোম্পানি। ফলে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ের পাশাপাশি নতুন খনিজ সম্পদের সন্ধান পাওয়ার সম্ভবনাও তৈরি হবে।

মহাকাশ বা জ্যোতির্বিজ্ঞান গবেষণার এক বিশাল দুয়ার উন্মোচন করবে বঙ্গবন্ধু-১। বিশেষ করে বিজ্ঞান নিয়ে আগ্রহী এবং মহাকাশবিজ্ঞানে ক্যারিয়ার গড়তে , নতুন কিছু আবিষ্কার করতে চাওয়া শিক্ষার্থীরা নতুন এক ডাইমেনশন পাবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মহাকাশবিজ্ঞান বিভাগ খোলা হবে। হাজার হাজার বেকারের কর্মসংস্থান নিশ্চিত হবে এই এক স্যাটেলাইট দিয়েই। এই স্যাটেলাইটের হাত ধরেই একদিন হবে আমাদের নিজস্ব গবেষণা সংস্থা। পর্যাপ্ত সরকারী সহায়তা ও ফান্ডিং পেলে শুরু হবে গবেষণায় নতুন এক অধ্যায়! এই অর্জনগুলো কি টাকার অংকে মাপা সম্ভব?

উদ্ধৃতি:আর আরেকটা বড় যে প্রোপ্যাগান্ডা চলছে, সেটা হচ্ছে স্যাটেলাইটের স্বত্ব নাকি বেক্সিমকোর, মালিকও নাকি বেক্সিমকো, সরকার স্যাটেলাইট বেক্সিমকোর কাছে বিক্রি করে দিয়েছে, অর্থনৈতিক সব হিসাবও বেক্সিমকোই দেখবে, টেকাটুকা সব বেক্সিমকোর একাউন্টে যাবে। কত বড় উজবুকে বেকুব হলে মানুষ এসব মিথায়চার বিশ্বাস করে? সরকারি মালিকানাধীন যে সংস্থাটি পুরো স্যাটলাইটের ‘বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড’। এটি পরিচালিত হবে ইতিমধ্যে কোম্পানিতে কারিগরি লোকবল নিয়োগ দেয়া হয়েছে এবং তাদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষন দেয়া সম্পন্ন হয়েছে। (তথ্যসুত্রঃ ১০ই মে ২০১৮, বাংলাদেশ প্রতিদিন)।

তিন মাসের মধ্যে এই সংস্থাটি বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রাথমিকভাবে এই সংস্থায় ১০৫ জন জনবল প্রয়োজন হবে। তরুণরাও স্যাটেলাইট ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার জন্য আগ্রহী হবে, যা হবে আগামীর জন্য একটি ভালো বিনিয়োগ। এর গ্রাউন্ড স্টেশন স্থাপন করা হয়েছে গাজিপুরের জয়দেবপুরে এবং রাঙ্গামাটির বেতবুনিয়ায়। এজন্য ইউরোপ, আমেরিকা থেকে যাবতীয় যন্ত্রপাতি কিনে এনে স্থাপন করে স্টেশনগুলো প্রস্তুত করা হয়েছে। সুতরাং যারা বলছে বেক্সিমকোর কাছে স্যাটেলাইট বিক্রি করে দিয়েছে সরকার, তাদের মিথ্যাচারে কান না দিয়ে খুব সহজেই গুগল করে জেনে নিতে পারেন সত্যটা!

এবার আসা যাক এই পুরো প্রজেক্টের সাথে বেক্সিমকোর সম্পর্কের ব্যাপারে! আপনার বাসার টিভিটায় যে অজস্র চ্যানেল দেখেন, কিভাবে? ক্যাবল টিভি অপারেটরদের কাছ থেকে লাইন নিয়ে, রাইট? তারা কিভাবে আনে? তারা বিভিন্ন স্যাটেলাইট কোম্পানির কাছ থেকে ব্যান্ডউইথ কিনে তার মাধ্যমে বাইরের টিভি চ্যানেলগুলো আমাদের কাছের পৌছে দেয়। আরেকটু সহজ করে বললে, টাটা স্কাই, ডিশ এদের কাছ থেকে সেট টপ বক্স কিনে ছাদে ছোট ডিশ বসিয়ে টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠান দেখি, এটা দেখতে পারি কারণ টাটা স্কাই বা ডিশ এরা স্যাটেলাইট থেকে ব্যান্ডউইথ কিনে অর্থাৎ নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ভাড়া নিয়ে ব্যবসা করে। খুব মনোযোগ দিয়ে খেয়াল করেন, ভাড়া নিচ্ছে, স্যাটেলাইটের মালিক কিন্তু তারা না! স্যাটেলাইটের মালিক আর স্যাটেলাইট থেকে ভাড়া নিয়ে ব্যবসা করা একেবারেই ভিন্ন জিনিস!

বেক্সিমকো এবং আরো কিছু কোম্পানি বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের কিছু ব্যান্ডউইথ কিনেছে। তারা আরো আগে থেকে বাসাবাড়িতে ক্যাবল টিভি সংযোগ ব্যাবসার সাথে জড়িত। আগে তারা ব্যান্ডউইথ কিনতো বিদেশী স্যাটেলাইটের কাছ থেকে, এখন তারা কিনলো দেশের প্রথম স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ থেকে। বেক্সিমকো কিনেছে DTH মানে বাসাবাড়িতে ডিশের মাধ্যমে টিভি চ্যানেল দেখার লাইন ভাড়া দেওয়ার জন্য। আমরা এই ডিশ লাইনের জন্য এখন যেমন নানা ক্যাবল কোম্পানির কাছ থেকে চড়া দামে মাসিক ক্যাবল কানেকশন নিয়ে থাকি, সেই জায়গায় বেক্সিমকো এবং অন্য কোম্পানিগুলো দেশীয় স্যাটেলাইট থেকে এই টিভি লাইনের ব্যান্ডউইথ ভাড়া নিয়ে ব্যাবসা করবে। এই ব্যান্ডউইথ ভাড়া দেওয়ার পুরো কার্যাবলী দেখভালের জন্য আলাদা করে আরেকটা কোম্পানীই গঠিত হয়েছে, মালয়েশিয়ায় অফিস নেওয়া হয়েছে এর মার্কেটিং-এর জন্য। অর্থাৎ এখন কেবল এই ব্যান্ডউইথ শুধু আমাদের দেশের বেক্সিমকো কিংবা বড় বড় কোম্পানিগুলোও নয়, কিনতে পারবে আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলোও।

আমাদের স্যাটেলাইট শুধু মহাকাশে ঘুরবে না, যথাসাধ্য টাকাও ঊপার্জনের চেষ্টা করবে। এর ফলে আসবে বড় অংকের বৈদেশিক মুদ্রা। তো, এখন এই বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটটির রাষ্ট্রীয় প্রতিরক্ষা থেকে শুরু করে বাণিজ্যিক অসংখ্য কর্মকান্ডের ছোট্ট একটা অংশ হচ্ছে ক্যাবল অপারেশন চালানোর জন্য ব্যান্ডউইথ ভাড়া দেওয়া, যার কিছু অংশ ভাড়া নিয়েছে বেক্সিমকোসহ অন্যান্য কোম্পানীগুলো। যদি তাই হয়, তাহলে এই সামান্য ব্যান্ডউইথ ভাড়া নিয়ে কিভাবে বেক্সিমকো কিংবা অন্য কোম্পানিগুলো বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের প্রায় ৩০০০ কোটি টাকার স্যাটেলাইটের মালিক হয়ে গেল? সুস্থ মস্তিষ্কের কেউ কিভাবে এই মিথ্যাচার বিশ্বাস করেন?

আর যারা গত রাত থেকে “স্যাটেলাইট কেন উড়লো না, নিশ্চয়ই স্যাটেলাইটের ভেতর বাঁশ ভরে দেওয়া হয়েছে” টাইপের টিটাকারি দিচ্ছেন, তাদের সদয় অবগতির জন্য জানাই, এই স্যাটেলাইট উড়বেই। আজকে আবার যদি সমস্যা থাকে তাহলে কয়েকদিন পরে উড়বে। প্রথম উৎক্ষেপণ যদি একদম ফেইল করে, তাহলে ব্যাক আপ রকেটে যাবে। সেটাও ফেইল করলে ইন্স্যুরেন্স করা আছে, আবার কাজ শুরু হবে। কিছুদিন আগে এঙ্গোলার প্রথম স্যাটেলাইট অরবিটালে স্থাপনের মাসখানেক পরেই অকেজো হয়ে গেছে, ওইটার জন্যও খরচ প্রায় একইরকম ছিল। আমেরিকান স্যাটেলাইটও উৎক্ষেপণের অল্প সময় পর প্রপাত ধরণিতল হওয়ার উদাহরণ আছে। তারপরও আমাদের স্যাটেলাইট আকাশে যাবেই। যারা ব্যর্থতা দেখতে উন্মুখ, তাদের আশাহত হবার সম্ভাবনা আনন্দিত হবার চেয়ে হাজার গুণ বেশি। উৎক্ষেপণের সময় আদর্শ অবস্থার সামান্যতম হেরফের দেখা গেলে লঞ্চ করা হবে না, অপেক্ষা করা হবে। এই রকেট তো হেজবুল্লার ফায়ার করা কাতিউশা রকেট না, জায়গামত পড়লে পড়ল, না পড়লে নাই। স্পেস রকেট শত মিলিয়ন ডলারের বস্তু। সুতরাং আপনারা যারা সুবেবাংলার আপামর ছাগলপাল ম্বুকের ভেতরের গভীর জ্বালা হাসি-পরিহাস আর টিটকারী দিয়ে মেটাচ্ছেন, তারা আরো পাক্কা ১২-১৩ ঘণ্টা বুকের বামপাশে ব্যথা নিয়া ছটফট করতে থাকুন। আপনাদের এই হাহাকারেই রচিত হোক নতুন বাংলাদেশের অর্জনগাঁথা!

Note: লেখাটি ঈষৎ মার্জিত ও সংগৃহীত
তথ্যসূত্র : https://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article1493030.bdnews
https://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article1494538.bdnews



Rahaman-Raad

লেখক পরিচিতি

রহমান রাদ
রহমান রাদ একজন জনপ্রিয় লেখক। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক লেখনীতে তার বিশেষ কৃতিত্ব আছে। তিনি অনেক সময় ধরে ইন্টারনেট এ নতুন প্রজন্মকে তার বিশেষ লেখনীর মাধ্যমে উৎসাহিত করে আসছেন।।