“বিধি না মেনে ঐক্য নয়- ডাবলিন আওয়ামীলীগের প্রতিক্রিয়া ও একটি বিশেষ বিজ্ঞপ্তি ”



কয়েকদিন আগে আয়ারল্যান্ড আওয়ামীলীগের উদ্যোগে ডাবলিনে বসবাসকারী ১২ জনের আওয়ামীলীগ সমর্থক দলের সাথে আয়ারল্যান্ড আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দের একটি আলোচনা সভা হয়েছে যেখানে আয়ারল্যান্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসেন, ডাবলিন আওয়ামীলীগের সভাপতি ফিরোজ হোসেন , ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অলক সরকার, সিনিয়র সহ-সভাপতি জসিমুদ্দিন পাটোয়ারী , সহ-সভাপতি সেলিম অরণ্য, রিয়াজুল খন্দকার , টিটু খন্দকার ,সাংগঠনিক সম্পাদক সমীর কুমার, সদস্য সফিকুল ইসলাম , খিলডেয়ার আওয়ামীলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান , গলওয়ে আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সামির জসিম ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক এ আর নয়ন সহ প্রায় আরো অনেক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


আলোচনার মূল বিষয় ছিল কিভাবে আওয়ামী সমর্থকদের এই দলটিকে আয়ারল্যান্ড আওয়ামীলীগের সাথে একীভূত করা যায়।ওখানে সবাই প্রায় ওই গ্রুপ টিকে আয়ারল্যান্ড আওয়ামীলীগের সাথে একীভূত করার ব্যাপারে কি কি পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে, কিভাবে তা করা যেতে পারে সে বিষয়ে কথা হয়েছে। বিশাল আয়ারল্যান্ড আওয়ামীলীগের অন্যান্য অনেক নেতৃবৃন্দ সেদিন উপস্থিত ছিলেন না তাই হয়তো অনেকেই অনেক কিছু জানেন না।


আয়ারল্যান্ড আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ সেখানে নানারকম পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছে। কিন্তু ডাবলিন আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ সুস্পষ্ট কিছু ঘোষণা চেয়েছে ওই গ্রুপটির কাছ থেকে। আমরা যারা ডাবলিন আওয়ামীলীগের সাথে ওতপ্রোত জড়িত তারা কোনো শর্ত ছাড়াই এই ধরণের একীভূত হয়ে ঐক্যের ব্যাপারে শংকিত। আমরা সকলেই জানি ওই গ্রুপটি নানাভাবে অনেক বছর ধরে আয়ারল্যান্ড আওয়ামীলীগের বিরোধিতায় লিপ্ত। আমরা যা করি তার বিপরীত কিছু করতেই তাদের পছন্দ ও এতে তাদের আনন্দের মাত্রা অপরিমিত। আমরা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ নিয়ে কমিটি গঠন করলে তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দল(জামায়েত, বিএনপি,জাতীয় পার্টি) করা ব্যক্তিদের নিয়ে কমিটি গঠন করে, উদাহরণ: তাদের দ্বারা গঠিত কেরি আওয়ামীলীগ। জননেত্রী শেখ হাসিনা সব সময় বলে থাকেন যে বিএনপি-জামায়াতিদের নিয়ে দল ভারী করার কোনো প্রয়োজন নেই। তাদের দলে ঠাঁই দেওয়া উচিত নয়।


তারপর আয়ারল্যান্ড আওয়ামীলীগের বিরোধিতার জন্য তারা গুটি কয়েক লোকজন নিয়ে কোনো প্রকার সম্মেলন ছাড়াই একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ডাবলিন আওয়ামীলীগ নামে একটি কমিটি গঠন করেছে যেখানে ঘুরে ফিরে ওই একই লোকজন।

এমতবস্থায় এই সব সর্বদল করা লোকজনদের নিয়ে কোনো প্রকার শর্ত ছাড়াই এই একীভূত হওয়া দলের জন্য কতটুকু মঙ্গলজনক হবে তা ভেবে দেখার বিষয় আছে। আমরা ঐদিন মিটিংয়ে এও দেখলাম তারা আমাদের সম্মেলনের নির্ধারিত দিন, তারিখ, স্থান নিয়েও বিরোধিতা করছে এবং এখন পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধিতা করেই যাচ্ছে।


আমরা ঐদিন এও দেখলাম তাদের মধ্যে থেকে কেউ কেউ আয়ারল্যান্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি , সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করার জন্য-ও ইচ্ছুক।সে যাই হোক , প্রতিদ্বন্ধিতা যে কেউ করতে পারে। কিন্তু আমাদের অর্থাৎ ডাবলিন আওয়ামীলীগের শঙ্কা অন্য জায়গায়। যেহেতু তারা প্রতিদ্বন্ধিতা করবে হয়তো তাদের মধ্যে থেকেও যে কেউ নির্বাচিত হলেও হতে পারে। এখন তারা নির্বাচিত হলে বর্তমান ডাবলিন আওয়ামলীগের কমিটির কি হবে, যেটা গত বছর সকলের উপস্থিতিতে সম্মেলনের মাধ্যমে গঠিত হয়েছিল। সেখানে বর্তমান আয়ারল্যান্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি কিবরিয়া হায়দার , সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসেন সহ বিভিন্ন কাউন্টি আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।আপনাদের সকলকে আমন্ত্রিত করা হয়েছিল এবং ডাবলিন আওয়ামীলীগের বর্তমান কমিটি বলতে গেলে আপনাদের সকলের সহযোগিতায় গঠিত হয়েছে। এখন আমাদের সম্মেলনের মাধ্যমে গঠিত ডাবলিন আওয়ামীলীগের কমিটি ভেঙ্গে দেওয়ার পায়তারা করছে একীভূত হওয়ার নামে আয়ারল্যান্ড আওয়ামীলীগের বিরোধী গ্রূপটি।


আয়ারল্যান্ড আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দের মধ্যে ঐদিন মিটিংয়ে যারা বিরোধী গ্রুপটি কে কোনো প্রকার শর্ত ছাড়াই একীভূত করার কথা বলছিলেন, সেই বিরোধী গ্রূপ দ্বারা গঠিত ডাবলিন আওয়ামীলীগের কমিটি গঠনকালে আপনাদের কাউকে কি আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। আপনারা কি সেখানে উপস্থিত ছিলেন। আমরা যতদূর জানি আপনারা সেখানে কেউ উপস্থিত ছিলেন না, আর আপনাদেরকে আমন্ত্রণ-ও জানানো হয়নি। আগামী তিরিশ তারিখের সম্মেলনে এই বিরোধী গ্রূপের যদি কেউ সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয় তাহলে তারা প্রথমেই আপনাদের সহযোগিতায় গঠিত বর্তমান ডাবলিন আওয়ামীলীগের কমিটি ভেঙ্গে দেবে যার মেয়াদ আরো আড়াই বছর আছে এবং তাদের দ্বারা গঠিত ফেসবুক কমিটি তখন বৈধতা পাবে। ডাবলিনের সমস্ত অনুষ্ঠানে তাদের দ্বারা গঠিত কমিটির লোকজন তখন প্রাধান্য পাবে অথবা তারা তাদের ও আমাদের কমিটি-ও ভেঙ্গে দেবে এবং পুনরায় সম্মেলনের ডাক দেবে। যা বর্তমান ডাবলিন আওয়ামীলীগের কর্মীরা কোনোভাবেই মেনে নেবে না। তাই কোনো প্রকার বিধি ছাড়া এভাবে এই বিরোধী গ্রূপের একীভূত হওয়ার ব্যাপারে আমরা ডাবলিন আওয়ামীলীগ এর তীব্র বিরোধিতা করি।

এখন এই সংকট থেকে বের হওয়ার যে উপায় নেই তা নয়। তাও ডাবলিন আওয়ামীলীগ ভেবে রেখেছে। আমাদের কাছে এই সংকট থেকে বের হওয়ার দুটি উপায় আছে এক. তাদের দ্বারা গঠিত (অনুমোদনহীন আয়ারল্যান্ড আওয়ামীলীগ, ডাবলিন আওয়ামীলীগ,কেরী আওয়ামীলীগ ) বর্তমানের সমস্ত কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করতে হবে এবং এটা প্রেস রিলিজ আকারে আসতে হবে। দুই. আগামী তিরিশ তারিখের সম্মেলনে এই বিরোধী গ্রূপের কেউ-ই আয়ারল্যান্ড আওয়ামীলীগের প্রধান উপদেষ্টা , সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে না। কিন্তু তাদেরকে অন্যান্য পদ তাদের বিগত দিনের কর্মকান্ডের ভিত্তিতে দেওয়া যেতে পারে।

বিরোধী গ্রুপটি যদি একীভূত হতে চায় তাহলে উপরোক্ত বিধির যেকোনো একটি তাদের কে মেনে নিতে হবে যেন তারা বর্তমানের ডাবলিন আওয়ামীলীগের কমিটির উপর কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করতে না পারে এবং তাহলেই আয়ারল্যান্ড আওয়ামীলীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটিতে তাদের নাম অন্তর্ভুক্তি,সম্মেলনে তাদের প্রতিদ্বন্ধিতা বা ঐক্যের ব্যাপারে আমাদের কোনো প্রকার আপত্তি থাকবে না। অন্যথায় তাদের নাম আয়ারল্যান্ড আওয়ামীলীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটিতে অন্তর্ভুক্তি ও সম্মেলনে প্রতিদ্বন্ধিতার ব্যাপারে আমরা ডাবলিন আওয়ামীলীগ জোর আপত্তি জানাচ্ছি।

আমরা ডাবলিন আওয়ামীলীগ আয়ারল্যান্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি জনাব কিবরিয়া হায়দার ,সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসেন ও বিভিন্ন কাউন্টি আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের -ও এই ব্যাপারে আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ সহ এর একটা ন্যায় পূর্ণ সমাধানের মাধ্যমে আমাদের এই শঙ্কা দূর করার অনুরোধ জানাচ্ছি।


বিশেষ বিজ্ঞপ্তি:আগামী ৩০ তারিখে অনুষ্ঠিত আয়ারল্যান্ড আওয়ামীলীগের সম্মেলনে যারা সভাপতি ও সাধারণ সম্পদক পদে প্রার্থী হতে ইচ্ছুক তাদেরকে আগামী ৭ দিনের মধ্যে ইউরোপিয়ান আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জনাব গনির আদেশক্রমে প্রার্থীর বায়োডাটা ও দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি আয়ারল্যান্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি জনাব কিবরিয়া হায়দার ও সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসেনের নিকট জমা দেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো যাচ্ছে। উপরোক্ত সমুদয় জমা দেওয়ার শেষ তারিখ আগামী ১২-ই সেপ্টেম্বর।

- আহ্বানে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি -২০১৮।

নিবেদক,
ডাবলিন আওয়ামীলীগের
সকল নেতৃবৃন্দ ও কর্মীবৃন্দ


      

[ সংবাদটি পড়া হয়েছে : 8085 বার ]