বাংলাদেশের রাজনীতিতে তার নিজের ক্যারিশমা দিয়ে আরো একটি ঝলমলে সুপ্রভাত এনে দিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। অভিনন্দন জননেত্রী শেখ হাসিনা। আপনার বিজয়ী হওয়া মানে বাংলার জনগণের বিজয়ী হওয়া।
একাদশ জাতীয় নির্বাচনে খড়কুটার মতোই উড়ে গেছে তথাকথিত ঐক্যফ্রন্টের সব হেভিওয়েট নেতৃবৃন্দ। এই নির্বাচনের শুরু থেকেই বিএনপি জামায়েত অপগোষ্ঠী নানাভাবে চেষ্টা করেছিল নির্বাচনকে বানচাল ও প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য। নির্বাচনের দুইদিন কি একদিন আগে বিএনপি জামায়াতের প্রায় একশো কোটি টাকা ধরা পড়েছে র্যাবের হাতে। প্রশাসনকে হস্তগত করার জন্য প্রাক্তন হাওয়া ভবনের মালিকদের এই প্রয়াস , শুধু তাই নয় ভোট কিনতে গিয়েও ধরা পড়েছে বিএনপি জামায়াতের লোক। টাকা এইভাবে ধরা পড়ে যাওয়াতে তাই আমরা শুনতে পাই হতাশা গ্রস্ত মওদুদের ফোনালাপ কাহিনী, বিএনপি এইবার ১৫/২০ টি আসন পাবে। যেখানে বিএনপির নেতারা হতাশা গ্রস্ত ও আত্মবিশ্বাসহীন সেখানে বিএনপির ভোট বাক্স রক্ষা করতে ভোটকেন্দ্রে যাবে কোন বোকা পোলিং এজেন্ট।
কথায় কথায় প্রতিপক্ষ বিরোধীরা বলে যে, জনগণ এইবার নাকি তাদের পক্ষে ভোট বিপ্লব করে ফেলবে কিন্তু দিন শেষে আমরা যা দেখলাম তা হলো বিপুল ভোটের ব্যবধানে প্রতিপক্ষের ভরাডুবি, হওয়ার-ও ছিল তাই। লন্ডনে পলায়নরত এক অপরাধীকে নেতা মেনে (দলীয় গঠনতন্ত্র সংশোধন করে ) শুধু মুখে গণতন্ত্রের বুলি আওড়ালে সারা দেশের মানুষ শুধু তাদের কথায় গণতন্ত্রের জন্য প্রাণ দিতে ঝাঁপিয়ে পড়বে না। মানুষের কাছে সবকিছু থেকেই নিজের প্রাণটা বেশি প্রিয়। তারপর-ও আদর্শের জন্য মানুষ প্রাণ দেয় কিন্তু দেশ বিরোধী বিএনপি জামায়াতের এই আদর্শ বিহীন রাজনীতির জন্য নয়।
ইদানিং বিরোধী পক্ষ আবার নতুন নাটক শুরু করেছে যে তারা নাকি শপথ নেবে না। যদি শপথ-ই না নেবেন তাহলে নির্বাচন করলেন কেন, যদি নির্বাচন-ই না করবেন তাহলে রাজনীতিতে আসলেন কেন। আপনাদের লন্ডন পলায়নরত নেতা মনোনয়ন বাণিজ্য করে কোটি কোটি টাকা কামিয়ে নেবে আর আপনারা দেশে নির্বাচন করে শপথ না নিয়ে দেশের মানুষের সাথে প্রতারণা করবেন অর্থাৎ আপনারা দুই দিক থেকেই এই দেশের জন্য ক্ষতিকর। এরকম ক্ষতিকর একটি রাজনৈতিক দল কোনোভাবেই জনগণের বন্ধু হতে পারে না। তাই আপনাদের নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন অভিযোগ থাকা স্বত্তেও আপনাদের পক্ষ নিয়ে কোনো জনগণ রাস্তায় নামেনি।
আর আপনারাই বা কেন বার বার ভুলে যান বিএনপি সমর্থক নির্ভর আর সুবিধা বাদীদের দল।তাই সুবিধা না পেলে আপনাদের কোনো কর্মী পাওয়া যাবে না। আওয়ামীলীগ ঠিক এই জায়গাটিতে কুঠারাঘাত করেছে (বিএনপি-নো সুবিধা)= নো কর্মী, ফলাফল: নির্বাচনে ভরাডুবি।
আপনাদের ভুল সিদ্ধান্ত , ভুল কৌশল আর ভুল রাজনীতির (দেশ বিরোধী রাজনীতি) কারণে আপনারা ইতিমধ্যে পৃথিবী বিখ্যাত।
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ বিরোধী পক্ষের এতো ভুলকেও তাদের মূল পুঁজি হিসেবে নেয়নি বরং নিজেদের কর্মকাণ্ডের দ্বারাই তারা ভোট চেয়েছে , জনহিতকর কাজ করেছে এবং এর ফলাফল আমাদের সামনে।
এই নির্বাচনে আওয়ামীলীগের এই বিজয় আমাদের সকলের সামনেই একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে যে জনহিতকর কাজ ও পরিশ্রমের ফলাফল সবসময়ই মধুর হয়। কারণ জনগণ-ই সকল ক্ষমতার উৎস এবং ভোটারদের এই প্রতিদান আমরা মনে করি আওয়ামীলীগের নির্বাচিত সাংসদরা তাদের নিজেস্ব এলাকার উন্নয়নের মাধ্যমেই দেবেন।
মাননীয় এম.পিদের ভুলে গেলে চলবে না আগামী পাঁচ বছর পর আবার বিগত পাঁচ বছরের কর্মকান্ডের বিবরণ জনগণকে দিতে হবে। তাই জনকল্যাণে কাজ করুন। ডাবলিন আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে নির্বাচিত এম.পি, জনগণ , প্রশাসন ও নির্বাচন সংক্রান্ত আনুষ্ঠানিক কাজে অক্লান্ত পরিশ্রমের জন্য আপনাদের সকলকে বিজয়ী শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
শুভেচ্ছান্তে,
ফিরোজ হোসেন
সভাপতি
ডাবলিন আওয়ামীলীগ
অলক সরকার
সাধারণ সম্পাদক
ডাবলিন আওয়ামীলীগ