লেখক পরিচিতি
সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক আয়ারল্যান্ড আওয়ামীলীগ ।
অতি উৎসাহী কিছু লোকজনকে দেখা যায় আজকাল আয়ারল্যান্ড আওয়ামীলীগ নিয়ে কথা বলতে।আওয়ামী নামধারী হাইব্রিড একটি গোষ্ঠী কিছু হলেই আওয়ামীলীগকে গালাগাল করে, এর মধ্যে বিভক্তি খুঁজে বেড়ায় আবার আওয়ামীলীগ কে বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত বলতে পারা বা করতে পারার মধ্যেই যেন তাদের অনন্তকালের আনন্দ।
এরা কিছুদিন পর পর আয়ারল্যান্ড আওয়ামীলীগের নাম দিয়ে গুটি কয়েক লোকজন নিয়ে মিটিং করে যাদের অধিকাংশই আবার ডাবলিন শহরে বসবাস করে, আর মিটিংয়ের নাম করে হাইব্রিড এই গোষ্ঠীটি ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্টে বসে চিকেন কাবাব চাবায়।
এদের রাজনীতি মূলত পিজা বা চিকেন তন্দুরি খাওয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ভাষায় কাউয়া রাজনীতি বিদ হলে যে অবস্থার তৈরী হয় সেরকম একটা অবস্থা তৈরির জন্য তারা চেষ্টায় রত।
একনজরে দেখা যাক করা আছে কারা আছে আওয়ামী নামধারী এই গোষ্ঠীটিতে এদের মধ্যে আছেন ওয়েক্সফোর্ডের বিশিষ্ট তৈলবাজ যিনি সবার কাছে গলাবাজি করে বেড়ান তিনি নাকি ঐক্যের চেষ্টায়রত এবং কিছু হলেই ইউরোপের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের পায়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন কদমবুচি করার জন্য। আসলে তিনি পক্ষপাত দোষে দুষ্ট একজন লোক যার কাছে ঐক্যের চেয়ে ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্টে বসে মুরগি খাওয়াতেই তার আনন্দ। কিছুদিন আগে এই ব্যক্তিটি ফেসবুকে অমুক জনকে তমুক পদ ইত্যাদি বিভিন্ন জনকে বঙ্গবন্ধু পরিষদ নামের একটি সংগঠনের পদ দিয়ে বেড়িয়েছেন। সেখানে চিহ্নিত বিএনপি জামায়েতকেও অন্তর্ভুক্ত করেছেন তিনি।
লেখক উদ্বৃতি :"ওই অপগোষ্ঠীটির রাজনীতি মূলত পিজা বা চিকেন তন্দুরি খাওয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ।
' আয়ারল্যান্ড আওয়ামীলীগ নামধারী একজন আছেন যিনি অন্যের কাছ থেকে ৩০০ টাকা দরে প্রতি লেখা কিনে এনে তা নিজের নামে ফেইসবুকে চালিয়ে দেওয়া হঠাৎ গবেষক ও সাহিত্যিক বনে যাওয়া এক ধূর্ত।।’
এরপর আছেন অন্যের কাছ থেকে ৩০০ টাকা দরে প্রতি লেখা কিনে এনে তা নিজের নামে ফেইসবুকে চালিয়ে দেওয়া হঠাৎ গবেষক ও সাহিত্যিক বনে যাওয়া এক ধূর্ত। এই লোকটি অনেকটা কাকের স্বভাবের মতো, উনি চোখ বন্দ করে খাবার লুকিয়ে রাখতে পছন্দ করেন যেন অন্য কেউ না দেখে। ইতিমধ্যে উনি প্রায় সবার কাছেই হাসির পাত্রে পরিণত হয়েছেন। উনি নিজেই নিজের পদ পদবীর আগে "সম্মানিত" বিশেষণ ব্যবহার করেন। শুধু তাই নয় উনি আবার নানারকম আন্তর্জাতিক মানের সহ-সভাপতি পদে ভূষিত। পদ লোভী এই ব্যক্তিটি আবার একটি পদে খুশি নন। কোনো অনুষ্ঠানে নিয়ে যাবেন আপনাকে একটা পদ অবশ্যই তার জন্য বরাদ্দ রাখতে হবে। আপনারা যারা এই কাকের মতো স্বভাবের লোকটির ফেইসবুকে যাবেন দয়া করে ওখানে লেখা পড়ে ভ্রমিত হবেন না।ওখানে উল্লেখিত কোনো বিশ্ববিদ্যালয়তেই তিনি পড়েন নি ,সেই তথ্য আমাদের কাছে আছে। আরো একটি মজার বিষয় হচ্ছে আপনি যদি ওনার একাউন্টির প্রতি নজর রাখেন তাহলে দেখবেন কিছুদিন পর পর বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পরিবর্তন হচ্ছে।ওনার এই একাউন্টি বাংলাদেশ থেকে পরিচালিত। ওখান থেকেই প্রতি নিয়ত আয়ারল্যান্ড আওয়ামলীগ সম্পর্কে বা বিরুদ্ধ বাদীদের উদ্দ্যেশ্যে লেখা দেওয়া হয়।
এরপর আছেন অধঃপতিত একজন মুক্তিযোদ্ধা, যার নাম বিক্রি করে আপাতত তারা চলছেন। আয়ারল্যান্ডে জামায়েত শিবির দ্বারা পরিচালিত একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে মঞ্চে বসে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়েছেন তিনি। তো আয়ারল্যান্ডে ওনাকে সবাই অধঃপতিত মুক্তিযোদ্ধা হিসেবেই চিনেন।
তার উপর আরো অভিযোগ আছে আয়ারল্যান্ডের কাউন্টি কেরী'তে চৌদ্দ ঘাটের জল খাওয়া (সর্ব দল করা ) এক ব্যক্তিকে গুরুত্ব পূর্ণ পদ দেওয়া সহ নানা অভিযোগ।
কিছুদিন আগে যখন জননেত্রী শেখ হাসিনা লন্ডনে আসেন তখন নাকি জননেত্রীর সাথে সাক্ষাতের জন্য লন্ডনে যান এরকম একটি অপপ্রচার তারা ফেসবুক জুড়ে চালিয়েছে। পরে আমরা ঐসময় সেখানে উপস্থিত ইউরোপিয়ান নেতৃবৃন্দের কাছ থেকে জানতে পারি জননেত্রীর আগমন উপলক্ষে নয় বরং আয়ারল্যান্ড আওয়ামীলীগের বর্তমান নেতৃবৃন্দ ও কর্মীদের বিরুদ্ধে বিষেদাগার করার জন্য-ই তা দের লন্ডনে গমন, তৎক্ষণাৎ রাজনৈতিক ভিত্তিহীন ও অবৈধ এই দলটির কর্মকান্ড যা আয়ারল্যান্ডের জনসাধারণ-ও অবৈধ বলে মনে করে তা পর্যাপ্ত প্রমান সহ ইউরোপিয়ান নেতৃবৃন্দের সম্মুখে তা তুলে ধরা হয়। ইউরোপিয়ান নেতৃবৃন্দের কাছে কাঙ্খিত সুযোগ না পেয়ে তারা শেষ চেষ্টা হিসেবে জন-নেত্রীর সাথে সাক্ষাতের চেষ্টা চালায় যা আমাদের সরবরাহকৃত প্রমানের কারণে তাদের পক্ষে আর সাক্ষাৎ করা সম্ভব হয়নি। তাই সম্পূর্ণ এই বিষয়টি আমাদের কাছে তাদের রাজনৈতিক শঠতা বলেই প্রতীয়মান হয় যেখানে নেত্রীর আগমন উপলক্ষ্যে তাদের লন্ডনে যাওয়া একটি উছিলা মাত্র।
ইউরোপিয়ান নেতৃবৃন্দ ও আয়ারল্যান্ডের জনসাধারণের প্রতি আমাদের অনুরোধ, দয়া করে তাদের যেকোনো আয়ারল্যান্ড আওয়ামীলীগ সম্বন্ধীয় চটকদার ফেসবুক বিজ্ঞাপনে অভিভূত হবেন না। আয়ারল্যান্ড আওয়ামীলীগের যেকোনো কার্যাবলী বা যোগাযোগের জন্য আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করুন।
Note: লেখাটি সম্পূর্ণ আয়ারল্যান্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি কিবরিয়া হায়দার ও সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসেনের কাছ থেকে সংগৃহীত