Sample photo

আপনি জানেন কি


# বঙ্গবন্ধুর এই ঐতিহাসিক ভাষণটি বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক সরকার আসার আগে পর্যন্ত কোথাও প্রচার বা পরিবেশন নিষিদ্ধ ছিল।

# এই ভাষণটি এমন কি বিএনপি সরকার ১৯৯১ সালে নির্বাচিত হওয়ার পরেও নিষিদ্ধ ছিল।

#১৯৯৬ সালে আওয়ামীলীগ সরকার নির্বাচিত হয়ে আসার আগে বাংলাদেশ টেলিভিশনের কোথায়ও বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারিত হতো না বা যেকোনো ধরণের বঙ্গবন্ধুর নাম বা কোনো ডকুমেন্টারি প্রচার নিষিদ্ধ ছিল।

#আওয়ামীলীগ সরকার সর্বপ্রথম ১৯৯৬ সালে নির্বাচিত হয়ে আসার পর এই ভাষণের ব্যাপক প্রচার শুরু হয়।

# এই ভাষণটি কোনো লিখিত ভাষণ ছিলোনা বা পূর্বে তৈরী কৃত ভাষণ ছিল না । বঙ্গবন্ধু তৎক্ষণাৎ উপস্থিত বুদ্ধিবলে ভাষণটি তৈরী করেন। বলা হয়, এই ভাষণের পেছনে বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী বঙ্গমাতা ফজিলাতুনেছার অবদান অবিস্মরণীয়।

# এই ভাষণটির একটি উল্লেখযোগ্য অংশ ছিল "এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম , এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম "

# বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণটি কে জনসমক্ষে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণার পরোক্ষরূপ ধরা হয়। যদিও তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা করেন ১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ রাতে অর্থাৎ ২৬শে মার্চের প্রথম প্রহর রাত ১২টা ২০ মিনিটে।

#ভাষণটির গুরুত্ব এতটাই ছিল যে তৎকালীন পূর্বপাকিস্তানের সরকারী সবকিছুই বঙ্গবন্ধুর নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। জনমানুষকে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণের জন্য যথেষ্ট উদ্দীপনা তৈরী করে।

# ভাষণটি ধারণ করার পর তা রক্ষা করতেও এর ক্যামেরা ম্যান ও সহযোগীদের যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে।ধরা পড়লে নিশ্চিত মৃত্যু, এমন আশংকা মাথায় নিয়ে তৎকালীন ক্যামেরা ম্যান আমজাদ আলী খন্দকার কঠোর পাহারায় নিয়োজিত আর্মিদের চোখ কে ফাঁকি দিয়ে সচিবালয় থেকে একটি ট্রাঙ্কে করে ভাষণটি সরিয়ে নেন ৯-ই এপ্রিল ১৯৭১। বাঙালীর মুক্তিযুদ্ধ ততদিনে শুরু হয়ে গেছে।

# জিয়াউর রহমান (পরবর্তীতে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা) ১৯৭৪ সালের ২৬ শে মার্চ বাংলাদেশের বিচিত্রা ম্যাগাজিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন,৭-ই মার্চের ভাষণটি তাকে ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে অনুপ্রাণিত করেছিল।

# এই ভাষণটির জন্য ও সমসাময়িক ঘটনাবলীর জন্য তৎকালীন আমেরিকান বিশ্বখ্যাত আন্তর্জাতিক ম্যাগাজিন "নিউজউইক" বঙ্গবন্ধুকে "Poet Of Politics" ঘোষণা করেন।

# ব্রিটিশ ইতিহাসবিদ জেকব ফ্রান্জ ফিল্ডের ২০১৩ সালে প্রকাশিত প্রখ্যাত বই "We Shall Fight on the Beaches: The Speeches That Inspired History" তে এই ভাষণটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

# ২০১৭ সালের ৩০ শে অক্টোবর "বঙ্গবন্ধুর ৭-ই মার্চের ভাষণ" কে বিশ্ব আন্তর্জাতিক সংস্থা ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ দলিলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

# বিগত ২,৫০০ বছরের মধ্যে বিশ্বকে পরিবর্তনকারী গুরুত্বপূর্ণ ভাষণের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর ৭-ই মার্চের ভাষণ "World's All Time Best Speech".

# স্বাধীনতার এই সু -বিশাল সংগ্রামে স্বাধীনতার ঘোষণার আগে পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু কখনোই জনগণকে সহিংস কর্মকান্ড চালাতে উৎসাহিত করেননি এবং একটু লক্ষ্য করলেই দেখা যায় বাঙালীরাই পাকিস্থানী শাসক গোষ্ঠীর হাতে নিপীড়িত, নির্যাতিত হয়েছে, এমন কি হত্যাকাণ্ডের পর্যন্ত শিকার হয়েছে। সেই ৬০ এর দশক থেকে মুক্তিযুদ্ধের আগ পর্যন্ত বাঙালীরা জাতির জনকের নেতৃত্বে পাকিস্থানী শাসক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অহিংস আন্দোলন করেছে।

Sample photo

বঙ্গবন্ধু সম্বন্ধীয় উদ্ধৃতি


# "Poet Of Politics"-নিউজ উইক ম্যাগাজিন-এপ্রিল, ১৯৭১

# "Poet Of Politics"-লন্ডন টাইমস- ১৯৭২


# শেখ মুজিবর রহমান শুধু বাংলাদেশের নয় , তিনি সকল বাঙালীর স্বাধীনতার প্রতীক হয়ে উঠেছেন। তার বাঙালী জাতীয়তাবাদ বাঙালী সভ্যতা ও সংস্কৃতির নব্য উত্থান। মুজিব বাঙালির নায়ক আগেও ছিল ,সবসময় থাকবে।
- মিশরীয় জার্নালিস্ট মোহাম্মদ হাসনাইন হেইকেল- ১৯৭২ সাল


# আমি হিমালয়কে দেখিনি কিন্তু শেখ মুজিবকে দেখেছি। তার ব্যক্তিত্ব ও সাহস হিমালয়ের মতো। সেইভাবে আমি প্রত্যক্ষ করেছি হিমালয়কে।
- কিউবান নেতা ফিদেল কাস্রো- আলজেরিয়া-১৯৭৩ সাল (Non-Aligned Summit)


# একটি অর্থে, শেখ মুজিব জর্জ ওয়াশিংটন, মহাত্মা গান্ধী ও দে ভিলারের চেয়ে বড় নেতা।
- লর্ড ফিনার ব্রকওয়ে (ব্রিটিশ যুদ্ধ বিরোধী কর্মী এবং রাজনীতিবিদ)


# মুজিব জীবনীশক্তি সম্পন্ন চিত্তাকর্ষক একজন মানুষ যিনি বাঙালীদের রাজনৈতিক গান্ধী হয়ে উঠে তাদের কণ্ঠস্বর, আশা আকাঙ্খা, দুঃখ কষ্টের প্রতীক হয়ে উঠেছিলেন। এমনকি পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা জিন্নাহও পারেননি কয়েক কোটি জনতার আশা আকাঙ্খাকে ধারণ করতে যা মুজিব পেরেছিলেন এই এক ঢাকা-তেই। মনে হয় না এই উপমহাদেশে গান্ধীর পর এমন কোনো নেতা আছে যিনি শুধু রাজনৈতিক আদর্শের জন্য জীবনের অনেকটা সময় কারাবন্দী ছিলেন।
- টাইম ম্যাগাজিন -আগস্ট, ১৯৭১

[ সংবাদটি পড়া হয়েছে : 3842 বার ]

তথ্যসূত্র : উইকিপিডিয়া , বাংলা বিডি নিউজ ২৪